ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলায় পৌর মেয়র ও তার দুই ভাইসহ ১৯ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ। বুধবার কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রসূন কুমার সেনের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।
আসামিরা হলেন গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, তার ছোট ভাই গৌরীপুর সরকারি কলেজের ছাত্রদল সভাপতি সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ময়লাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, তার ছোট ভাই মাসুদ পারভেজ কার্জন, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাম্মেল হক, রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদের খালাতো ভাই খাইরুল ইসলাম, ছাত্রদলকর্মী রিফাত, ট্রাকচালক মো. আবু হানিফা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলকর্মী মজিবুর রহমান, ছাত্রদলকর্মী শরীয়তউল্লাহ, যুবদলকর্মী রাসেল মিয়া, কামাল মিয়া, মো. মাইনউদ্দিন, শরীফুল ইসলাম নাঈম, রুহুল আমীন ও শাহজাহান মিয়া।
আসামিদের মধ্যে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, সভাপতি সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছেন। ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন এবং বাকিরা এখনও পলাতক।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, শুভ্রর সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ ও ক্ষোভ ছিল। শুভ্র হত্যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকার মরিচ মহলে শুভ্রকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।